বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রোহিঙ্গা সংকটে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ : ড. ইউনূস *** যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়: সালাহউদ্দিন *** জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ ইসলাম *** প্রতিবছর জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা *** চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪০ ছাড়ালো *** করোনায় আরো দুইজনের মৃত্যু *** সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা *** শেফালীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন, ময়নাতদন্তের পরও ধোঁয়াশা *** ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে: আমীর খসরু *** আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প

গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে শিশুরা, চাপ বাড়লেও থামছে না ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, ২১শে মে ২০২৫

#

ইসরায়েলের অবরোধ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে গাজা উপত্যকায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, উপত্যকার লাখো মানুষ অনাহারের মুখে, শিশুরা কাঁদছে ক্ষুধার যন্ত্রণায়, আর কিছু না হলে এই সংকট মৃত্যুতে পরিণত হবে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পূর্ব জেরুজালেম প্রতিনিধি আন্তোয়ান রেনার্ড বলেন, ইসরায়েল কিছু সীমান্ত অস্থায়ীভাবে খুলে দিলেও তা ‘গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল’।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে সামান্য কয়েকটি ট্রাক গাজায় ঢুকতে পেরেছে। রেনার্ড জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে বিদ্যমান খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাই অব্যাহত রাখা দরকার; তা ভেঙে দিলে পুরো গাজার জনগোষ্ঠী অনাহারের মুখে পড়বে এবং আমরা তা ঠেকাতে পারবো না।

জাতিসংঘ আরও জানায়, কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে সেগুলো বিতরণ করা যাচ্ছে না।

দক্ষিণ গাজার এক নার্স বিবিসিকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেন, আমরা তপ্ত রোদে তাঁবুর নিচে থাকি, পেটে কিছু নেই। আমার সন্তানরা ক্ষুধায় কাঁদছে। একজন মা হিসেবে আমি অসহায়—না পারছি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করতে, না ক্ষুধা থেকে, না গরম কিংবা পোকামাকড় থেকে।

খান ইউনুসের এক বাবা জানান, আমি ভালো নেই, আমার সন্তানরাও নয়।

গাজা প্রশাসনের দাবি, গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ‘ক্ষুধানীতির’ কারণে অন্তত ৩২৬ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, আরও অন্তত ১৪ হাজার শিশুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে, যদি খাদ্য সহায়তা না পৌঁছায়।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নতুন করে হামলা অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাও ইসরায়েলকে থামাতে পারছে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৮ জন আহত হয়েছেন। তবে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন এবং নিখোঁজদের মৃত বলে ধরা হলে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।


ইসরায়েল

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Top
Footer Top Mobile