মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে (বোনের শ্বশুর) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালত এ মামলার রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
শ্রীপুর উপজেলার আট বছরের শিশুটি ১ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে সে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।সবশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমের নামে মামলা করেন। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
১৩ এপ্রিল আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। আসামি রোকেয়া বেগমকে তথ্য গোপন, সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন অভিযোগ আনা হয়েছে।
রায় ঘোষণা শেষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, দেশব্যাপী আলোচিত এ মামলার রায়ে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। প্রধান আসামি হিটু শেখের ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীরা সান্ত্বনা খুঁজে পাবে।
তিনি আরও বলেন, হিটু শেখ ছাড়া তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ তিন আসামির শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে মামলার রায় ঘোষণা একটি যুগান্তকারী ঘটনা। স্বল্প সময়ে মধ্যে এ বিচারকার্যে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।